![](https://jagopress.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ তামজিদ হোসেন রুবেল
পুরোপুরি গরম পড়েনি। গরম পড়ার আগেই রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিটি ইউনিয়নে শুরু হয়েছে লোডশেডিং। প্রতিদিন কয়েক দফা লোডশেডিং কারনে দিন দিন মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ব্যবসায়ীদের । তীব্র গরম না পড়তেই এ পরিস্থিতিতে জনমনে বাড়ছে ক্ষোভ। এমন অপরিকল্পিত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করছেন। বিদ্যুৎ চলে গেলেই কেউ কেউ ব্যাঙ্গাত্মকভাবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে লিখছেন, নতুন ডিজিএম যোগদানের পর থেকেই লোডশেডিং, রামগঞ্জে নতুন ডিজিএম এর আগমনের মধ্য দিয়ে লোডশেডিং শুরু। বিদ্যুতের ফেরিওয়ালি আপা কই সহ আরো অনেক কিছুই লিখছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
গত কয়েকদিন থেকে সকাল ৭টার পর সূর্যের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দুপুরে তীব্রতা আরও বেশি। রোজাদারের জন্য কষ্ট বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রচণ্ড এ গরমে সবচেয়ে বিপদে আছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। রোদে তাকালেই চোখ যেন ঝাপসা হয়ে আসে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। এর মধ্যে মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে এসেছে ঘন ঘন লোডশেডিং। লোডশেডিং হলে বাসার মধ্যে যেন দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা। শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বেশি।
একই অবস্থা ব্যবসায়ীদেরও। বিদ্যুৎ না থাকায় ক্রেতা সংকটে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। বৈশ্বিক নানা সংকটের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বাগড়া দিচ্ছে লোডশেডিং। ঈদের বেঁচাকেনায় দিনেও বিদ্যুৎ না থাকায় অন্ধকারে অলস সময় পার করছেন তারা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দিনে-রাতে গড়ে কয়েক ঘণ্টা করে হচ্ছে লোডশেডিং। পিক আওয়ারে অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় ক্রেতারাও আসছেন না। ফলে কমে গেছে কেনাবেচাও।
এমনকি মধ্যরাত বা সেহেরির শেষরাতেও লোডশেডিং হচ্ছে। এই গরমে আবহাওয়ার সঙ্গে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন।
এবিষয়ে রামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মোঃ শাহীন রেজা ফরায়েজী বলেন, সারাদেশেই লোডশেডিং চলছে, আমাদের কিছুই করার নেই। সাধারণ মানুষের জায়গায় থাকলে আমিও বিদ্যুৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলতাম। সবাইকে ধৈর্য ধারন করার আহবান জানান তিনি।