ইসরাইলের বিরুদ্ধে আক্রমণ সমন্বয় করতে বিরল বৈঠকে বসেছিল ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
শুক্রবার ফিলস্তিনি কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
হামাস ও হুথি দুটি গোষ্ঠীই ইরানের ‘প্রতিরোধ অক্ষ’-এর অংশ। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরাইল ও তার মিত্র আমেরিকার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে ইরানসমর্থিত গোষ্ঠীগুলো।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা দেশটির একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি বলেছে, তারা ৩১ অক্টোবর থেকে সংঘাতের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তারা ইয়েমেনের সানা থেকে এরই মধ্যে হাজার মাইল দূরের ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
এর পর নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচলকারী ইসরাইল ও আমেরিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা করতে শুরু করে হুথিরা। তাদের অব্যাহত হামলার পর গত জানুয়ারি থেকে আমেরিকা ও ব্রিটেন যৌথভাবে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা করতে শুরু করে। কিন্তু তাতেও দমে যাননি হুথি যোদ্ধারা।
হামাস ও আরেক ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী সংগঠন ইসলামিক জিহাদের কয়েকটি সূত্র এএফপিকে জানান, তাদের ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের নেতারা গত সপ্তাহে হুথি প্রতিনিধিদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে গাজা যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কীভাবে সমন্বিত আক্রমণ করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে কোথায় এ বৈঠক হবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি সূত্র জানায়, রাফায় ইসরাইলের সম্ভাব্য অভিযান নিয়েও ফিলিস্তিন সংগঠনগুলোর সঙ্গে হুথিদের আলোচনা হয়। বৈঠকে হুথিদের পক্ষ থেকে লোহিত সাগরে হামলা অব্যাহত রাখার কথা জানানো হয়।
শুক্রবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, রাফায় সামরিক অভিযানের জন্য তিনি অনুমোদন দিয়েছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল হুথি জানান, প্রয়োজনে ভারত মহাসাগর ও উত্তমাশা অন্তরীপ পর্যন্ত তারা হামলা বিস্তৃত করা হবে।