ভোলা প্রতিনিধি:
ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) ভোলা জেলা শাখার উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দৌলতখানের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার ২৩শে -জুন দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নে ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ভোলা জেলা, নারিশ বাংলাদেশ ও জাগো ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ভবানীপুর বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের দুঃসময়ে সহায়তা প্রদান করতে ভিবিডি ভোলা জেলা শাখা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে ভিবিডি ভোলা জেলার স্বেচ্ছাসেবকরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, চিড়া, গুড়, এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। এতে প্রায় ১০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার উপকৃত হয়েছেন।
এই সময় ভিবিডি ভোলা জেলার সমন্বয়ক মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা সর্বদা দুর্যোগকালীন সময়ে মানুষের পাশে থাকতে প্রস্তুত। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। তিনি আরও বলেন, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা পেয়েছি, যা কার্যক্রমটিকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের সহায়ক হয়েছে।
ভিবিডি ভোলা জেলার সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। আমরা আশাবাদী যে এই সাহায্য ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সহায়ক হবে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি প্রদান করা এবং তাদের পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করা।
ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে উপকারভোগীরা অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। এক বৃদ্ধা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বলেন, এই দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির সময় দুর্যোগ পরবর্তীতে ভিবিডি আমাদের সাহায্য করেছে, তা আমাদের অনেক উপকারে এসেছে। আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
ছকিনা বেগম জানান, আমাদের গ্রামে এই প্রথমবার এই সেচ্ছাসেবী সংগঠন আমাগোরে চাল,ডাল, তেল সহ কত কি দিয়া সাহায্য করছে আল্লাহ তাদেরকে ভালো রাখবে।
ভিবিডি ভোলা জেলার সভাপতি সাধারণ মানুষের উদেশ্যে বলেন, ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) একটি যুব সংগঠন যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দুর্যোগ মোকাবেলা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ভিবিডি ভোলা জেলা শাখার এই উদ্যোগও তাদের ধারাবাহিক মানবিক প্রচেষ্টার একটি অংশ। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা সবসময় জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকে। আমরা চাই আমাদের প্রতিটি উদ্যোগ মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলুক এবং তাদের দুঃসময়ে সহায়ক হোক।