মোঃ তামজিদ হোসেন রুবেল
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মধ্যে দুর্দান্ত সাহসী কিছু অফিসার রয়েছে যারা তাদের সৎ সাহসকে পুঁজি করে জনগণের শান্তির জন্য দিনরাত সকল অন্যায়কে বিতাড়িত করে পুলিশ বাহিনীকে করে তুলেছেন প্রশংসিত। ঠিক তেমনি একজন মানবিক, বিনয়ী, সৎ, মেধাবী ও সাহসী দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হলেন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোলাইমান। আইনশৃংঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সহ তার দায়িত্ব শতভাগ সফল ভাবে পালন করেও যে, আন্তরিকতা ও মানবপ্রেম দিয়ে গোটা উপজেলাবাসীর মন জয় করতে পারে তার এক জলন্ত প্রমাণ তিনি।
পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের ভিন্ন ধারণা থাকলেও রামগঞ্জ থানার এই ওসি যোগদানের পর সে ধারণা বদলে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় ব্যতিক্রমী একজন পুলিশ অফিসার হিসাবে তিনি তার সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে থানাতে আসা সাধারণ মানুষের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধেও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা ও সাধারণ মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক এবং অপরাধীদের কাছে হয়ে উঠেছেন আতঙ্ক।
তিনি ২০২৩ সালের ২৬ অক্টোবরে রামগঞ্জ থানায় যোগদানের পাঁচ মাসেই নিজের সততা, মেধার মাধ্যমে উপজেলার সাধারণ মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। কোনো ভেদাভেদ না করেই যখন যেখানে যে ধরণের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তিনি তাই করে যাচ্ছেন। তিনি যে কোনো ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্রই সাড়া দিচ্ছেন দ্রুত। রামগঞ্জ থানা এলাকাকে রেখেছেন যেকোন সময়ের চেয়ে নিরাপদ। রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতেও কঠোর হাতে আইনশৃঙ্খলা রেখেছেন স্বাভাবিক এবং সরকারের উন্নয়নমূলক সাফল্যগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে পুলিশি কার্যক্রমকে রেখেছেন বেগবান।
সরেজমিনে রামগঞ্জ উপজেলায় ঘুরে বিভিন্ন জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই ওসি রামগঞ্জে যোগদানের পর হতে মাদক কারবারীদের আনা গোনা অনেকটা কমে গেছে । প্রতিনিয়ত অভিযানের ফলে অনেক মাদক ব্যবসায়ী ও গড ফাদারদের তিনি গ্রেফতার করেছেন। তার ভয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছে।
তিনি বর্তমান এ উপজেলাবাসীর চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। তার চোখে ধনি-গরিব,রিকশা চালক হতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান। এ ছাড়াও একের পর এক ব্যতিক্রমী কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়ায় তার সচেতনতামূলক কিছু বার্তা। আর তার কর্মকান্ডের খ্যাতি জনসাধারণের মুখে মুখে।
একজন দক্ষ কর্মকর্তা হিসাবে ইতোমধ্যে তিনি জেলার মধ্যে দুইবার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে সম্মাননা পেয়েছে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান বলেন,পুলিশ জনগণের বন্ধু। মানুষের যে কোন সমস্যায় পুলিশ সবসময় পাশে থাকবে। সাধারণ মানুষের সাথে ভালো ভাবে মিশতে পারলে যে কোন সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হওয়া যায়। তাছাড়াও আমি চেষ্টা করি সকলের সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক রাখতে। যে কেউ যে কোন সময় যেন তার সমস্যার কথা অনায়াসে খুলে বলতে পারেন। কেন না মানুষ তার সমস্যা নিয়ে থানায় আসে সমাধানের লক্ষ্যে। প্রতিটি সেবা গ্রহিতার সাথে রামগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতিটি সদস্য সুন্দর ব্যবহার করে তাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।