মোঃ তামজিদ হোসেন রুবেল
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মৃত ছাত্রলীগ নেতা রহমত উল্যাহ পাটওয়ারীর লাশ দাফন ও তার রেখে যাওয়া দুই বছরের এতিম কন্যা সন্তানের টাকা আত্মসাৎতের পায়তারা করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা শ্রমিক লীগের একাংশের বিতর্কীত কমিটির আহবায়ক মামুন ভূঁইয়া বিরুদ্ধে। তিনি রামগঞ্জ পৌর ৮নং ওয়ার্ড টামটা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির ওয়াজী উল্যাহ ভূঁইয়ার ছেলে।
এই বিষয় নিয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, মৃত মোঃ রহমত উল্যাহ পাটওয়ারীর বড় ভাই রামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রাজু হোসেন।
অভিযোগের এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখে, রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রহমত উল্যাহ পাটওয়ারী, সৌদি আরব রিয়াদে একটি ফুটবল খেলার মাঠে হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যবরণ করেন। তার মৃত্যুতে পুরো ফ্যামিলতে শোকের ছায়া পড়লেও, সেই সময় থেকেই টাকা পয়সা আত্মৎসাতের পায়তারা করেন, রহমতের স্ত্রী ও তার ভাই রামগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকলীগের একাংশের বিতর্কিত কমিটির আহবায়ক মামুন ভূঁইয়া।
মোঃ রহমত উল্যাহ পাটওয়ারীর মৃত্যুর পর, তাকে সৌদি থেকে বাংলাদেশে আনার জন্য বন্ধু বান্ধবসহ সকল আত্মীয় স্বজনদের সহযোগিতা থাকলেও, তার নিজের স্ত্রীর বড় ভাই মামুন ভূঁইয়া বিভিন্ন কাগজপত্র নিজেদের মত করে তৈরি করে নেয়। ওয়ারিশ সনদে মোঃ রহমত উল্যাহ পাটওয়ারীর পুরো ফ্যামিলির সবাইকে বাদ দিয়ে, নিজের বোন ও ভাগনির নামে করে নেন।
তাছাড়া মৃত মোঃ রহমত উল্যাহ পাটওয়ারীর জন্য, বৈদেশিক জনশক্তি ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে নগদ ৭০০০০০ ( সাত লক্ষ টাকা ) এবং তার বিভিন্ন বন্ধু বান্ধব ছোট ভাই, বড় ভাইয়ের কাছ থেকে প্রায় ৪/৫ (চার /পাঁচ) লক্ষ টাকাসহ ১০/১২ (দশ /বারো) লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেছে রহমত উল্যাহর বউ ও তার ভাই মামুন ভূঁইয়া। বর্তমানে রহমতের বউ অন্যত্র বিয়ে করে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার চালিয়ে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে মৃত মোঃ রহমত উল্যাহ পাটওয়ারীর বড় ভাই সাংবাদিক রাজু হোসেন জানান, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পারপাসে বৈদেশিক জনশক্তি ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে আসা নগদ সাত লক্ষ টাকা এবং বিভিন্ন বন্ধু বান্ধব থেকে আসা নগদ ৪/৫ লাখ টাকাসহ মোট ১০/১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায় তার বউ ও বউয়ের ভাই মামুন ভূঁইয়া। আমাদের একটাই দাবি ছিল রহমতের তিন লক্ষ টাকা ঋণ ছিল সে টাকাটা দিয়ে বাকি সব রহমতের বউ এবং তারা বাচ্চার নাম রাখতে হবে। কিন্তু তারা তা না করে পুরো টাকাটাই আত্মৎসাত করার পায়তারা করতেছে। আমার ভাতিজি কোথায় থাকবে সে বিষটা নিয়ে কোনো আলোচনা করা যাচ্ছে না তাদের সাথে। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
এই বিষয়ে শ্রমিক লীগ নেতা মামুন ভূঁইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় কাউন্সিলর শহীদ পাটওয়ারী জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে মামুন ভূঁইয়া কারোই ফোন ধরে না। তার এমন কর্মকান্ড আসলেই নিন্দনীয়।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।