লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের জেলেদের নৌকা ধরে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ ওঠেছে ভোলার মির্জাকালুর নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে। মির্জাকালুর নৌ পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ লক্ষীপুরের দরিদ্র হত দরিদ্র জেলেরা। যদিও এরিয়া অনুযায়ী ভোলার নৌ পুলিশ কোন বিশেষ কারণ ছাড়া লক্ষ্মীপুর এরিয়াতে আশার বিধান নেই। ঠিক তেমনি লক্ষীপুর রামগতি বড়খেরী নৌ পুলিশও ভোলার সীমানায় যাওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে ভোলার এই মির্জাকালু ফাঁড়ির নৌ পুলিশ তাদের সীমানা ফেরিয়ে লক্ষ্মীপুর সীমানায় রামগতির জারিরদোনা কমলনগরের লুধুয়া ঘাট, মাতাব্বর ঘাট এবং পাটওয়ারী হাট ঘাটসহ চর আব্দুল্লাহ এরিয়াতে এসে অসহায় দরিদ্র জেলেদের নৌকা ধরে নিয়ে চলে যায় ভোলার চরে। সেখানে নিয়ে মাঝিদের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা ১০০০০ টাকা দাবি করেন। আর টাকা না দিতে পারলে মামলা দিয়ে দেন। কোন উপায় না পেয়ে মাঝিরা তাদের স্বজনদেরকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দেন অতঃপর মুক্তি পান। এমনটাই বলেছিলেন লক্ষ্মীপুর কমলনগরের বেশ কয়েকজন জেলে। লক্ষ্মীপুরের জেলে নূরে আলম পিতা নুর নবি মাঝি সহ বেশ কয়েকজন জানান, তারা তাদের ভোলার এরিয়া ক্রস করে আমাদের রামগতির জারিদোনা এবং কমলনগর এর মাতব্বর হাট ঘাটের এদিকে এসে মাজিসহ নৌকাগুলো ধরে নিয়ে চলে যায় পরে টাকার বিনিময়ে মাঝি এবং নৌকাগুলো ছেড়ে দেয়। খবর নিয়ে জানাযায় ভোলার মির্জাকালুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নিজেই নৌ পুলিশ সদস্যদের কে নিয়ে নদীতে এমন অভিযান চালান। গত ১৩ জুন রামগতি কমলনগরের জেলেরা নদীতে গেলে মির্জাকালুর নৌ পুলিশ তাদের মধ্য থেকে ৫/৭ জনকে নৌকাসহ ধরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে জেলের স্বজনরা লক্ষ্মীপুর মিডিয়াকে জানালে সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে মির্জাকালুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটি অফিসার আবুল কালামকে কে ফোন দেয়া হয়। ডিউটি অফিসার আবুল কালাম বলেন, আমি কিছু জানিনা আমি নৌ পুলিশ ফাঁড়িতেই আছি নদীতে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়েছেন (ফাঁড়ির ইনচার্জ) স্যার নিজেই। এরপর মির্জা কালুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কে ফোন দিলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যান। ঠিক তখন তিনি লক্ষ্মীপুরের জেলেদেরকে নিয়ে মির্জাকালু হাকিমুদ্দিন যাচ্ছেন। তিনি বলেন আমার নৌ পুলিশ রামগতি কমল নগরের কোন জেলেকে ধরবে না। তারা ভোলার সীমানা অতিক্রম করে না। তবে তিনি বলেন তার এরিয়াতে কোন কারেন্ট জাল বসালে তিনি মামলা দিয়ে দেন। লক্ষীপুর রামগতি বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফেরদৌস আহমেদ বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক জেলেরা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে । এর আগেও জারিরদোনা, মাতব্বর হাট ঘাট পাটারির হাট ঘাট এবং লুধুয়া ঘাটের অনেক জেলে আমাকে অভিযোগ দিয়েছে । আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য আমার উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা । চাঁদপুর নৌ পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি বলেন, আমাকে জানিয়েছেন ভালো তবে বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপারকে একটু অবগত করেন। কারণ হাকিমুদ্দিন মির্জাকালু বরিশাল অঞ্চলে। বিষয়টি অবগত করতে বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশের পুলিশ সুপারকে জানালে তিনি বলেন, তারা যদি অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। মির্জাকালুর নৌ পুলিশ ভোলার এরিয়া পার হয়ে রামগতি কমলনগরের এরিয়াতে এসে কোন জেলে এবং নৌকা ধরতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি ভোলার এরিয়াতে লক্ষীপুর কমলনগর রামগতির কোন জেলে যায় তাহলে ধরতে পারবে। আর টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, যেই বিকাশ নাম্বারগুলো দিয়ে টাকা দিয়ে থাকে সে বিকাশ নাম্বার গুলো এবং মির্জাকালুর নৌ পুলিশ রামগতি কমলনগর এরিয়া তে গেলে ভিডিও করে আমাকে পাঠাবেন তাহলে আমি সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে পারব। এমন পরিস্থিতিতে লক্ষ্মীপুর রামগতি কমলনগর এর দরিদ্র হত-দরিদ্র জেলেরা নদীতে নামতে পারছেননা। জীবন জীবীকার তাগিদে সংসার বাঁচাতে নৌ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এবং সরকারের কাছে এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চায় তারা।