লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। কিন্তু জবরদখল নয় মাদ্রাসা এরিয়াতে মালিকানা সম্পত্তি পাওয়ার দাবী জানান আব্দুস শহীদ নামে এক ব্যক্তি। সদর উপজেলার ৮নং দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতলা গ্রামে অবস্থিত কাছিমুল উলুম নূরানী মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসার একসময়ের সভাপতি ছিলেন অভিযুক্ত আব্দুস শহীদ। তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বিভিন্ন সমস্যার কারণে নিজের ইচ্ছায় সভাপতির পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন আব্দুর শহীদ। অন্যদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলেন, নানান অনিয়মের সাথে জড়িত থাকায় কর্তৃপক্ষ তাকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেন । তাদের অভিযোগ এরপর থেকেই তিনি মাদ্রাসার ২ শতাংশ সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করছেন। এছাড়াও ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তারা । দফায় দফায় সালিশ- বৈঠক হলেও সমাধান মেলেনি । এরপর শুরু হয় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা । বর্তমানেএকটি মামলা পিবিআই তদন্তে রয়েছে বলে জানাযায়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানান, ২০১৩ সালে স্থানীয় মাহবুব মোরশেদ ও শহীদুল্লাহ্ গংদের কাছ থেকে এই জমি ক্রয় করেন তারা। তখনও এই জমি নিয়ে আব্দুস শহীদের সাথে কোনো বিরোধ ছিলনা। কিন্তু সভাপতির পদ থেকে তাকে বহিস্কার করার পর আব্দুস শহীদ নানানভাবে আমাদেরকে হয়রানী করে আসছে। মাদ্রাসার জমিকে তার জমি বলে দাবি করছে। বর্তমানে সে মাদ্রাসার সম্পত্তির জোর করে দখলের চেষ্টা করছে । আব্দুস শহিদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট। ওদের ভয়ে আমি আমার পৈতৃক ভিটা বাড়িতে যেতে পারি না। আমার চারটি ছেলে মাস্টার্স পাশ। প্রত্যেক ছেলে তাদের নিজ নিজ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু তারা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে আমি নাকি তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছি। আমি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে চতুর্পাশে বাউন্ডারি ওয়াল করেছি। উত্তর পাশ দিয়ে আমি রেখে দিয়েছি। সেখানে আমি আমার নিজ খরচে মাদ্রাসার জন্য কিচেন এবং টয়লেট করব। কিন্তু তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র করার কারণে আমি আমার সম্পদ বুঝে নিতে চাই। মাদ্রাসার কোন সম্পদ আমার প্রয়োজন নাই। স্থানীয় মেম্বার সহকারে সালিশের মাধ্যমে মাদ্রাসার সম্পত্তি পরিমাপ করতে চাইলেও তারা তা মানেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন বলেন, আব্দুস শহীদের দুই ভাই এবং মাদ্রাসার বিষয়টি নিয়ে আমি বসেছি। তিনি বলেন আব্দুস শহীদ তার মালিকানা কিছু সম্পত্তি মাদ্রাসা এরিয়াতে পাওনা আছে। সম্পত্তি পরিমাপ করে নিজের অংশ বুঝে নিতে চায় আব্দুর শহিদ। বিষয়টি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা, অতি দ্রুত পাল্টাপাল্টি মামলা বন্ধ করে সুষ্ঠ সমাধান করার করার দাবি স্থানীয়দের।