নিজস্ব প্রতিবেদক : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বাংলাদেশ সরকার দেশব্যাপী নিয়েছেন নানান রকম পদক্ষেপ। তারই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার ৯ নং তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান রাসেল ইউনিয়নের অসহায় মানুষের মাঝে সরকারের সকল সহযোগীতা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। মাত্র ৩ বছরে ইউনিয়নের অবকাঠামো উন্নয়নে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট,স্বাবলম্বী করতে এলাকার জনগনকে নানামুখী প্রশিক্ষণ, মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স ঘোষণাসহ অসংখ্য ভালো কাজের সাক্ষী হয়ে অবদান রাখছেন চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান রাসেল। তিনি তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য খেলাধুলার প্রতি উৎসাহিত করেন। এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ভাতা অসহায় দরিদ্র মানুষদের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণ করতে সক্ষম হন।অত্যান্ত নিখুঁতভাবে যাচাই-বাছাই এর পরে তিনি একজন ভাতা গ্রহীতা কে সনাক্ত করেন। গরিব অসহায় ছাত্রছাত্রীদেরকে সহযোগিতা, দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে সহযোগিতা, এলাকার অসুস্থ মানুষদের দেখতে যাওয়া তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা সহ ইউনিয়নবাসীর কল্যাণে কাজ করছেন তিনি। তারপরও একটি শ্রেণী তার ভালো কাজকে অস্বীকার করে তাকে হেনস্তার স্বীকার বানাতে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। সুবিধাভোগী ইউনিয়নের একাধিক ব্যক্তি ও স্থানীয় জেলেরা জানান, আগে আমরা তেমন একটা সুবিধা পেতাম না ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বর্তমানে আশ্রফুজ্জামান রাসেল চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সব ধরনের সুবিধা পেয়ে থাকি। অনেকে বলেন, বরাদ্দ অনুযায়ী অধিক পরিমাণে সুবিধাভোগী থাকলে সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান নিজের পক্ষ থেকে সুবিধাভোগীদের সুবিধা দিয়ে থাকেন। তিনি কখনোই তার এলাকার কোন মানুষকে নিরাশ করেন না। স্থানীয় ইউপি সদস্যরা জানান, চেয়ারম্যান আশ্রাফুজ্জামান রাসেল সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আমাদের ইউপি সদস্যদের মাঝে বন্টন করে দেন। সে অনুযায়ী আমরা আমাদের এলাকার অসহায় গরিবের মাঝে সেই সুবিধা বন্টন করে থাকি। অনেক সময় দেখা যায় ১০০ জনের মধ্যে ৭০ জনের বরাদ্দ আসে। সে ক্ষেত্রে আমরা ৭০ জনকে সুবিধা দিলে বাকি ৩০ জন আমাদের নিয়ে সমালোচনা করেন। কিন্তু আমরা চেষ্টা করি পরবর্তীতে এই ৩০ জনকে সুবিধার আওতায় আনতে। আশ্রাফুজ্জামান রাসেল বলেন, এই তিন বছরে আমি আমার এলাকাত অসংখ্য কাঁচা রাস্তা করেছি, কাবিখা থেকেও রাস্তা করেছি , এডিপির রাস্তা করেছি উন্নয়ন সহায়তার রাস্তা করেছি। আমার ইউনিয়ন পরিষদে মাতৃত্বকালীন ভাতা,বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এমনকি জেলে কার্ডে ও কোন ধরনের অর্থের বিনিময় হয় না।সরকারের নিয়ম অনুযায়ী শতভাগ স্বচ্ছতার সহিত আমি কাজ করি। তিনি দৃঢ়তার সহিত বলেন আমি গত তিন বছরে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের যে পরিমাণ উন্নয়ন করেছি তা একমাত্র আমার এলাকার জনগন বলতে পারবে। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন আমার বিরুদ্ধে যদি কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বানোয়াট আমার সাথে প্রতিদ্বন্দিতায় হেরে একটা কুচুক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে দীর্ঘদিন থেকে। বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে তিনি নিজ ইউনিয়নকে স্মার্ট করে গড়ে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন । ভালো কাজে বাধা আসবে এটাই স্বাভাবিক। সকল বাধাকে ডিঙ্গিয়ে ইউনিয়নবাসীর পাশে থেকে ইউনিয়নের উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান রাসেল। তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , এর আগে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। তবে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পূর্বের দুর্নীতি অনিয়মে চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান রাসেলের এমন কোন অভিযোগ নেই বলে জানালেন এই কর্মকর্তা। ভুলের ঊর্ধ্বে কোন মানুষ থাকতে পারে না, সমস্যা সম্ভাবনা ছাড়া কোন মানুষ বাঁচতেও পারে না। তেমনি প্রত্যেকটি জনপ্রতিনিধি তাদের কাজ করতে গিয়ে কিছু ভুল ত্রুটির মিশ্রণে ইউনিয়ন পরিচালনা করবেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণকে সেবা দিবেন এমনটাই মনে করেন জনপ্রতিনিধিরা। সব ধরনের অভিযোগ কে মিথ্যা প্রমাণিত করে এলাকার অসহায় জনগনের স্বার্থে স্বচ্ছতার সহিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সেই সাথে সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে নিজ ইউনিয়নকে স্মার্ট করে গড়ে তুলবেন চেয়ারম্যান রাসেল, এমনটাই প্রত্যাশা করেন সংশ্লিষ্টরা ।